মোঃ শরিফুল ইসলাম (নাটোর) প্রতিনিধ :
আজ ৩০ শে মার্চ নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ’ দিবস। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র চার দিনের মাথায় ৩০ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে শত শত মুক্তিকামী মানুষ ছুটে গিয়েছিলেন ময়না গ্রামে। এই দিনে ময়না গ্রামে উত্তরবঙ্গে সর্বপ্রথম পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর সাথে মুক্তি জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছিলো। এ যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্ট ধ্বংস হয় এবং বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খান ওরফে রাজা খান জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরের দিন ৩১ মার্চ লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ময়না যুদ্ধে প্রায় অর্ধশত প্রতিরোধকারী বাঙ্গালি শহীদ ও ৩২ জন আহত হন। সেই থেকে দিবসটিকে ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ’ দিবস হিসাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালন করে আসলেও দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি ময়না যুদ্ধ দিবস। ময়না যুদ্ধকে উত্তরবঙ্গের সর্বপ্রথম সম্মুখ যুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যুদ্ধের স্থানে আধুনিক স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে এই যুদ্ধের ইতিহাস জানার সুযোগ তৈরী এবং প্রতিরোধকারী শহীদ ও আহত পরিবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। প্রতিবছর এ উপলক্ষে ময়ন স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
Leave a Reply