চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আলোচিত বিএনপি নেতা আলম হত্যা মামলার ১২ নম্বর আসামি দুরুল হোদা (৪০)। তিনি আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে নিরাপত্তার অভাবে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানেই দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার টুনটুনিপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে দুরুলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
দুরুল নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ। তিনি বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নিহত দুরুল হোদা নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মিরাটুলি বাবুপুর গ্রামের চাঁন মণ্ডলের ছেলে।
দুরুলের বোন আয়েশা বেগম বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোপালপুর নামক স্থানে পৌঁছালে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুরুলের মৃত্যু হয়।
দুরুলের শ্যালিকা মরিয়ম খাতুন বলেন, ‘একটি হত্যা মামলায় সম্প্রতি আদালত থেকে জামিন পান দুরুল। এরপর নিরাপত্তার অভাবে নিজ বাড়িতে না উঠে শ্বশুর আনারুল ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে গিয়ে দুর্বৃত্তরা বাড়ি ঘেরাও করে দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে মৃত ভেবে তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।’
২৫০ শয্যবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. আব্দুস সামাদ জানান, দুরুলের দুই পায়ে ও দুই হাতে দেশি অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘দুরুল হোদা একটি হত্যা মামলায় জামিনে ছিলেন। সন্ত্রাসীরা তাঁকে কুপিয়ে পালিয়ে গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
গত ১৩ এপ্রিল মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি আলম হোসেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা ককটেল ফাটিয়ে গতিরোধ করে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহতের ভাই বাবুল আলী শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহার নামীয় ১২ নম্বর আসামি ছিলেন দুরুল হোদা।
Leave a Reply