রাজশাহীতে ঈদ সালামি দেয়ার কথা বলে এক শিশুকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শিশুটি নগরীর রোড নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার সকালে নগরীর ছোটবনগ্রাম খোরশেদের মোড় এলাকার এক পুকুর থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অভিযুক্ত যুবককে নাটোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেখানো স্থান থেকেই শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত যুবকের নাম মো. পলাশ (২৫)। নগরীর বড়বনগ্রাম ভাড়ালিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বাবার নাম মো. শাহিন। পলাশ স্থানীয় হোটেলের কর্মচারী।
রাজশাহী নগর পুলিশের শাহমখদুম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার নুর আলম সিদ্দিকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঈদ সালামি দেয়ার নাম করে ওই শিশুকে ফুসলিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় পলাশ। এরপর ধর্ষণের পর তাকে গলাটিপে হত্যা করে। পরে সুযোগ বুঝে লাশ পুকুরে ফেলে সে নাটোর পালিয়ে যায়। এদিকে শিশুটিকে না পেয়ে স্বজনেরা সাম্ভাব্য স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এলাকার একটি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে তারা দেখতে পান, পলাশ ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে।
এ নিয়ে রোববার বিকালে শিশুটির বাবা পলাশের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়েই পলাশের খোঁজে পুলিশের পাঁচটি টিম কাজ শুরু করে। রোববার ভোররাতে নাটোর থেকে পলাশকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা নুর আলম সিদ্দিকী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছে। সে ওই শিশুর কানের দুল দোকানে বিক্রি করেছিল। পুলিশ কানের দুল উদ্ধার করেছে। নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় শাহমখদুম থানায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। শিশটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান নুর আলম সিদ্দিকী।
Leave a Reply