ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের লোহারদিয়া গ্রামে বুধবার সকাল দশটায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বিএডিসির চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল্লাহ সাজ্জাদের সভাপতিত্বে স্থানীয় পেঁয়াজ চাষীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বিএডিসির পরিচালক জনাব মোস্তাফিজুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক জনাব প্রদীপ দে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক জনা কাজল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক জনাব মোঃ জামিলুর রহমানসহ ফরিদপুর জেলা বিএডিসি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, পেঁয়াজ বীজের সিংহভাগই উৎপন্ন হয় ফরিদপুর জেলায়। ফরিদপুরের মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ বীজ চাষের খু্বই উপযোগী। তিনি ফরিদপুরের পেঁয়াজ বীজ চাষিদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা পাইকারদের কাছে পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করবেন তবে অবশ্যই যেন সেই বীজের প্যাকেটে ‘ফরিদপুরের বীজ’ লেখা থাকে। কারণ ফরিদপুরের পেঁয়াজ বীজ একটি মানসম্মত ব্রান্ড। এছাড়াও বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকের জন্য ভর্তুকি, প্রণোদনাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে কৃষি ও কৃষকের উন্নতি হয়। পেঁয়াজের চাষ এখন সারাবছরই হচ্ছে। এর ফলে আমদানি নির্ভরতা কমেছে। শুভ লক্ষ্মণ হলো, পেঁয়াজ আবাদের চেয়ে পেঁয়াজ বীজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা বেশি এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বাস্তবায়নাধীন ‘মানসম্পন্ন মশলা বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিতরণ’ শীর্ষক প্রকল্পে বরিশাল-ফরিদপুর জোনের আওতাধীন ফরিদপুর জেলার পাঁচটি স্থানে পেঁয়াজ বীজ চাষ স্কিম চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলায় রয়েছে দুটি স্কিম। এর একটি চান্দ্রা ইউনিয়নের লোহারদিয়া গ্রামে প্রায় ১৬ একর জমিতে পাঁচ জন কৃষক পেঁয়াজ বীজ চাষ করছেন।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় পেঁয়াজ চাষীরা ভারত থেকে নিম্ন মানের পেঁয়াজ বীজ আমদানি বন্ধের দাবী জানান। মতবিনিময় সভাশেষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব ওয়াহিদা আক্তার খুলনার উদ্দেশ্যে ভাঙ্গা উপজেলা ত্যাগ করেন।
Leave a Reply