নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আজ ২৮ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড, কেন্দ্রীয় কমিটি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্স। আরোও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি খন্দকার লুৎফুল আজম, ইঞ্জি: কামরুজ্জামান রাজু, কানিজ ফাতেমা, শাহীন মাতুব্বর, সুজা সরকার জয়, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি: এনামুল হক মনির, দপ্তর সমন্বয়ক মুহাম্মদ নূর আলম সরদার, সদস্য মুবিয়া হাসান নিয়াত, শাহবাগ থানার সভাপতি হারুন মিয়াসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, “দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। একাত্তরে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাত আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। আগামীতে রাজাকারের বংশধরদেরকে আবার পরাজিত অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি জয়লাভ করবে। কোন স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারবে না। বিএনপি-জামাত আবার দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। খুনী জিয়ার দোসররা আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসের পায়তারা চালাচ্ছে। অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে সমুচিত জবাব দিবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শ অনুযায়ী বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।”
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তি বিএনপি ও জামাত-শিবির রাজাকারদের রাজনীতি আইন করে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও এদের বংশধরদের নাগরিকত্ব বাতিলসহ সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। জামাত ইস্যুতে “নতুন বোতলে পুরনো মদ” থিওরী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কখনোই মেনে নিবে না। জামায়াত-বিএনপির রাজনীতি এদেশে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্য কোন নামেও জামায়াতকে এদেশে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মেনে নিয়ে সকল দলকে রাজনীতি করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে আইন সংশোধন করে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে বাধ্য করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে এদের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন কমিশন ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। দেশের যেকোন প্রান্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের ওপর কোন আঘাত আসলে সেখানে যেয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড। সরকারের নিকট আহবান, অবিলম্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।”
সহ-সভাপতি খন্দকার লুৎফুল আজম বলেন, “আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতারা অস্ত্র জমা দিয়েছে কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কোন ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না। একাত্তরের পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির কোন ষড়যন্ত্র এদেশে কখনোই সফল হবে না। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবশ্যই দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির পক্ষে সবসময় আমাদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বর্তমান গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোন ধরনের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আমরা মেনে নিবো না। একাত্তরের পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দোসরদের রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”
সহ-সভাপতি কানিজ ফাতেমা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই আমাদের অঙ্গীকার-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সমগ্র বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ঐক্যবদ্ধ করে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাতিল হওয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ ও রাজাকারদের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে খুব শীঘ্রই রাজপথে নামবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের কোন সন্ত্রাসী আন্দোলনের নামে কোন ধরনের নাশকতা বা সন্ত্রাস করলে তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।”
Leave a Reply