পুঠিয়া(রাজশাহী) প্রতিনিধি:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা, আর এই উৎসব ঘিরে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় মোট ৫৬ টি পূজামণ্ডপের নান্দনিক মূল ফটকসহ দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।
২২ অক্টোবর বিভিন্ন পূজামণ্ডপে পরিদর্শন করেছেন পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জি,এম হিরা বাচ্চু। গত ২১ অক্টোবর থেকে মহাসপ্তমী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পূজার মূল আনুষ্ঠিকতা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের সকল দুর্গোৎসব। পুঠিয়ার রাজবাড়ী বাজার,পীরগাছা, কৃষ্টপুর, ঝলমলিয়া, শিলমাড়িয়া, পচামারিয়া, বানেশ্বর, বেলপুকুর সহ বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপে পরিদর্শন করেছে উপজেলা চেয়ারম্যান জি,এম বাচ্চু। পূজামণ্ডপের নান্দনিক মূল ফটকসহ দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
অন্য বছরের তুলনায় এবার পূজামণ্ডপ গুলোতে বাঁশ, কাপড়, শোলার দ্বারা তৈরি দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা করা হয়েছে। এ ধারবাহিকতায় এবারও সাত্ত্বিক পূজা-অর্চনার পাশাপাশি দর্শনার্থীর জন্য নতুন কিছু আয়োজন করা হয়। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রায় সকল স্থানে প্রতিমা নির্মাণের মাধ্যমে দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধ কাহিনির চিত্র দেখা যায়।
শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পরামর্শ ও সহযোগিতার আলোকে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানান, পুঠিয়া হিন্দু কল্যাণ ও সংস্কার সমিতির সাধারন সম্পাদক, পল্লব কুমার সেন গুপ্ত ও সভাপতি, চঞ্চল চৌধুরী।
পরিদর্শন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু গণমাধ্যমকে জানান, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নির্বিঘ্নে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাস্তবায়ন শেখ হাসিনার হাত ধরেই হচ্ছে। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের স্বাধীনতার অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাস্তবায়নে ও দেশরত্ন নেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করেতে সর্বদা এই বাংলার মানব-কল্যাণে পাশে আছি।
তিনি আরো বলেন, সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী, ২১ অক্টোবর মহাসপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মূল আচার অনুষ্ঠান। ২২ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ২৩ অক্টোবর মহানবমী ও ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
Leave a Reply