জাকির হোসেন
নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে পূর্ব শত্রুতা ও জমিজমার জের ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মেদের পরিবারের চার সদস্য আহতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। সোমবার দুপুরে নিয়ামতপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মেদের স্ত্রী জোসনাআরা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমাস্তাপুর উপজেলা ও নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চৌরা সমাসপুর গ্রামে জমিজমা নিয়ে তরিকুল ইসলাম ও তার ভাইদের সাথে সাবির উদ্দিন ও তার ভাইদের চার বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তরিকুল ইসলাম কোর্টের রায় পেলে জমি দখলের জন্য কাটা তারের বেড়া দেয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তরিকুল ইসলামের আত্মীয় হওয়ায় গোমাস্তাপুর উপজেলার শেরপুর গ্রামে আমার ছেলে জাকির হাসানকে সাবির হোসেনের ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। মাথায় আঘাত পেয়ে আমার ছেলে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লে আমার দেবর আমিনুর ইসলাম এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে হাত ও মাথায় আঘাত করে। পরে আমার দেবরের ছেলে আসগর কবিরের দুই পা ভেঙে ফেলে ও আরেক ছেলে সাইফুল ইসলামের চোখ উপড়ে ফেলে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত ২৪ মার্চ রবিবার নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের আড্ডা বাজারে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় তারা আমার বাড়ির পানির মর্টারের লাইন ভাংচুর করায় আমরা পানি খেতে পারছি না। আমরা এখনো আতঙ্কে রয়েছি। ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বলেন, তারা শুধু আমার পরিবারের সদস্যের মেরেই ক্ষান্ত হয়নি তারা মসজিদের ওযুখানা ও সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করেছে। সভ্য সমাজে এমন সন্ত্রাসীরা কিভাবে দিবালোকে কিভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সন্ত্রাসীদের কারণে আতঙ্কিত এবং জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আর না ভোগে সেজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মেদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
বিষয়টি নিয়ে গোমাস্তাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহম্মেদ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষে দুটি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নিয়ামতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। #
Leave a Reply