কান্নাভেজা কন্ঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। এর মধ্য দিয়ে তিনি শেষ করলেন দীর্ঘ ১৬ বছরের বর্ণিল ক্যারিয়ারের। এর আগে নানামুখী আলোচনার পর ২০২২ সালের ১৬ জুলাই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জরুরী সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন তামিম। এর আগে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বড় কোনো ঘোষণার। আর দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে চোখের জলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ফিটনেস ইস্যুতে গত কিছুদিন ধরেই বেশ আলোচনা ছিল। এত আলোচনা ভালোভাবে নেননি তিনি। তাই বৃহস্পতিবার হুট করে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন। সেখানেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
কান্নায় বারবার কথা আটকে যাচ্ছিল তামিমের, একটু পরপর কান্না সামলাতে বারবার মুখ আড়াল করছিলেন তিনি, চোখ মুছছিলেন বারবার। কান্নারত কণ্ঠে বলে দিলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটিই আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি।
সিদ্ধান্তটি হুট করে নেওয়া নয়। অনেকদিন ধরেই আমি এটা নিয়ে ভাবছি। পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছি এটা নিয়ে।
চোখের জলে মাঝে মাঝে ডুকরেও উঠেছে! বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই একটা কথা বলেছি, আমি ক্রিকেট খেলি আমার বাবার স্বপ্নপূরণ করার জন্য। আমি জানি না তাকে কতটা গর্বিত করতে পেরেছি এই ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে।
বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে হারের পরই বড় কোনো সিদ্ধান্তের গুঞ্জন ভাসছিল। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হলো।
তামিম অধিনায়কত্বসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। তাও আবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের ঠিক তিন মাস আগে! এই ঘোষণার আগে বিসিবি কিংবা ক্রিকেট বোর্ডের কোন পরিচালকের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেননি তিনি। একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে তামিম এই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।
২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কেনিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আগমন হয় তামিমের। এরপর ২৪১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৫৬টি ফিফটিতে ৩৬.৬২ গড়ে করেছেন ৮৩১৩ রান। আর ৭০টি টেস্ট খেলে ৩৮.৮৯ গড়ে করেছেন ৫১৩৪ রান। যেখানে ৩১ ফিফটির সঙ্গে রয়েছে ১০ সেঞ্চুরি।
Leave a Reply