স্টাফ রিপোর্টার,
রক্ত দিলে হয় না ক্ষতি, জাগ্রত হয় মানবিক অনুভূতি। আপনি অর্থ দিয়ে কারোও জন্য জীবন কিনতে পারবেন না, তবে আপনি রক্তদান করে কারোও জীবন বাঁচাতে পারবেন। তাই নিজে রক্তদান করুন অন্যদের কে রক্তদান করতে উৎসাহিত করুন। আপনার এক ব্যাগ রক্তের জন্য বাঁচে যাইতে পারে মানুষের জীবন। রক্ত মানুষের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কিন্তু মানুষে মানুষে কতো তফাৎ কেউ রক্ত দেয়। আবার কেউ রক্ত নেয়। কেউ কেউ তো এমনও আছে, যারা রক্ত বইয়ে দিয়ে নিষ্ঠুর জিঘাংসায় লিপ্ত হয়। খুন পিয়াসী খুনিয়া হয়ে ওঠে। মানবতার গায়ে এঁকে দেয় কলংক চিহ্ন। কিন্তু এ রক্তই অন্যজন ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার অমর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মুমূর্ষ ভাইয়ের জন্য আনন্দচিত্তে ও অকাতরে বিলিয়ে দেয়। শুধু সওয়াব পুণ্যের আশায়, আর একটুখানি হাসির ঝিলিক দেখতে। রক্ত সাধারণত শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর নাপাক হিসেবে সাব্যস্ত হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রয়োজন ও কারণ ছাড়া এক জনের রক্ত অন্যের শরীরে স্থানান্তর করা হারাম। তাই রক্ত গ্রহণের বিকল্প নেই।
ইসলামে রক্তদানের বিধান: ইসলাম একটি জীবন্ত ও সচল ধর্ম। প্রতি যুগে, প্রতিটি প্রশ্নের সমাধানে ইসলাম কথা বলেছে। বিভিন্ন অসুবিধায় মানুষের রক্ত প্রদান-গ্রহণের প্রয়োজন হয়। ইসলামে এ ব্যাপারেও রয়েছে সুন্দর নির্দেশনা। যখন কোনো অসুস্থ ব্যাক্তির জীবননাশের আশংকা দেখা দেয় এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে তার শরীরে অন্যের রক্ত দেওয়া ব্যতীত বাঁচানোর কোনো পন্থা না থাকে, তখন রক্ত দিতে কোনো অসুবিধা নেই। বরং এ ক্ষেত্রে ইসলাম আরো উৎসাহ দিয়েছে। স্বেচ্ছায় নিজের রক্ত অন্য কারও প্রয়োজনে দান করাই রক্তদান।
অতএব মুমিনের উচিত, একান্ত আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়ে সহযোগিতা করা। বিশেষ করে গরীর, অসহায় মানুষগুলো টাকার অভাবে রক্ত কিনতে না পারে রক্তের জন্য ছোটাছুটি করে। মুমিনের উচিত, তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা।
Leave a Reply